কুরআনের ভবিষ্যতবানী
সুরা
রোমের এই ভবিষ্যতবানী বা প্রিডিক্সন সংক্রান্ত আয়াতগুলো যখন নাজিল
হয়েছিল তখনকার বিশ্ব পরিস্থিতি তথা জিওপলিটিকেল অবস্থা বিশেষ করে
মুসলমানদের সত্যিকার অবস্থা সর্ম্পকে পরিস্কার ধারনা না থাকলে এ
প্রমানটির তাৎপর্য বুঝা সম্ভব নয়।
এই সুরা যখন নাজিল হয় তখন রোমান সাম্রাজ্য এবং পারস্য সাম্রাজ্য নামে পৃথিবীতে দুটা সুপার পাওয়ার ছিল। আর তখনকার সেই উভয় শক্তি পরস্পরের বিরুদ্ধে করছিল সাম্রাজ্য বিস্তারের প্রতিযোগিতা। তখন হেরাকিালয়াস ছিলেন রোম সম্রাট আর এদিকে পারস্য সম্রাট ছিলেন খসরু। সে সময় আরবের সঙ্গে মিলিত জর্ডান, সিরিয়া ও ফিলিস্তিন পর্যন্ত ছিল রোমানদের দখলে। পারস্য সম্রাট খসরু রোমানদের কাছ থেকে সে অঞ্চল দখল করতে যুদ্ধ শুরু করে এবং রোমানরা পরাজিত হয় । এ বিজয়ের পর পারস্য সৈন্যরা জর্ডান, সিরিয়া ও ফিলিস্তিন ও সিনাই উপদ্বীপের সমস্ত এলাকা দখল করে মিশরের সীমানা পর্যন্ত পৌছে গিয়েছিল। এদিকে মুসলমানদের আবস্থা তখন ছিল অতি দুর্বল। মুসলমানদের অবস্থা এত খারাপ ছিল যে মুসলমানদের এক বড় সংখ্যা মক্কার মুসরিকদের অত্যাচার ও নির্যাতন থেকে রেহাই পেতে নিজেদের ঘরবাড়ী ছেড়ে আবেসিনিয়ার খৃষ্টান রাজ্যে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। আর ঠিক সে অবস্থার পরিপেক্ষিতে যখন সুরা রোমের আয়াত নাজিল হল এই বলে,
''রোমানরা নিকটবর্তী ভূখণ্ডে পরাজিত হয়েছে। নিজেদের এই পরাজয়ের কয়েক বছরের মাঝে তারা বিজয়ী হবে। আসল এখতিয়ার আল্লাহরই রয়েছে পূর্বেও এবং পরেও। আর তা হবে সেইদিন, যেদিন আল্লাহর দেয়া বিজয়ে মুসলমানেরা আনন্দিত হবে"। (সুরা ৩০ আয়াত ২-৫)
উপরোক্ত আয়াতে দুটি ভবিষ্যদ্বানী করা হয়েছিল যার একটি ছিল রোমানদের ব্যপারে এবং অরেকটি ছিল মুসলমানদের ব্যপারে। তখনকার অবস্থার পরিপেক্ষিতে এর একটিরও সম্ভাবনার কোন লক্ষন ছিলনা বিন্দু মাত্র। এমন কোন এনালিষ্ট ছিলনা যে ভাবতে পেরেছিল যে রোমানরা আবার এত শীঘ্র বিজয়ী হতে পারবে পারস্যদের বিরুদ্ধে। ইংরেজ্ ঐতিহাসিক গিবন্ এর কথানুসারে কুরআন মজীদের ভবিষ্যদ্বাণীর পরও সাত আট বছর আবস্থ্ এমন ছিল যে, রোমান সাম্রাজ্য কোনদিন পারসিকদের উপর বিজয়ী হতে পারবে এমন ধারনা পর্যন্ত কেই করতে পারছিলনা। বিজয়ত দূরের কথা এ রাজ্যটি ঠিকে থাকতে পারবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ ছিল অনেকের।(Gibon, Decline and Fall of the Roman Empire. Vol 11, P 788, )
আর মুসলমানদের বিজয়ের ব্যপারটাত ছিল কাফিরদের কাছে আরো হাস্যস্কর ও খুবই ঠাট্টা-বিদ্রুপের বিষয়।
বিজয়ের সময়ের ব্যপারে আল্লাহ কোরআনে যে শব্দ ব্যবহার করেছেন তা হল '' বি ইজনী ছিনিন" যা আরবীতে তিন থেকে দশ বছরের সময়কে বুজায়। সেজন্য কাফেররা এর সত্যতা প্রকাশ হওয়ার উপর শর্ত করে মুসলমানদের সঙ্গে বাজী ধরে। আর ঠিক নয় বছরের মাথায় রোমানরা নৌবাহিনী দিয়ে আক্রমন করে পারস্যদেরকে পরাজিত করে । আর এদিকে ঠিক একই সময়ে মুসলমানেরা বদরের যুদ্ধে কাফিরদের তিনহাজার শক্তিশালী সৈন্যদের বিরুদ্ধে মাত্র একহাজার সৈন্য নিয়ে যুদ্ধ করে কাফিরদেরকে পরাজিত করে বিজয় আনন্দ লাভ করে !
এই সুরা যখন নাজিল হয় তখন রোমান সাম্রাজ্য এবং পারস্য সাম্রাজ্য নামে পৃথিবীতে দুটা সুপার পাওয়ার ছিল। আর তখনকার সেই উভয় শক্তি পরস্পরের বিরুদ্ধে করছিল সাম্রাজ্য বিস্তারের প্রতিযোগিতা। তখন হেরাকিালয়াস ছিলেন রোম সম্রাট আর এদিকে পারস্য সম্রাট ছিলেন খসরু। সে সময় আরবের সঙ্গে মিলিত জর্ডান, সিরিয়া ও ফিলিস্তিন পর্যন্ত ছিল রোমানদের দখলে। পারস্য সম্রাট খসরু রোমানদের কাছ থেকে সে অঞ্চল দখল করতে যুদ্ধ শুরু করে এবং রোমানরা পরাজিত হয় । এ বিজয়ের পর পারস্য সৈন্যরা জর্ডান, সিরিয়া ও ফিলিস্তিন ও সিনাই উপদ্বীপের সমস্ত এলাকা দখল করে মিশরের সীমানা পর্যন্ত পৌছে গিয়েছিল। এদিকে মুসলমানদের আবস্থা তখন ছিল অতি দুর্বল। মুসলমানদের অবস্থা এত খারাপ ছিল যে মুসলমানদের এক বড় সংখ্যা মক্কার মুসরিকদের অত্যাচার ও নির্যাতন থেকে রেহাই পেতে নিজেদের ঘরবাড়ী ছেড়ে আবেসিনিয়ার খৃষ্টান রাজ্যে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। আর ঠিক সে অবস্থার পরিপেক্ষিতে যখন সুরা রোমের আয়াত নাজিল হল এই বলে,
''রোমানরা নিকটবর্তী ভূখণ্ডে পরাজিত হয়েছে। নিজেদের এই পরাজয়ের কয়েক বছরের মাঝে তারা বিজয়ী হবে। আসল এখতিয়ার আল্লাহরই রয়েছে পূর্বেও এবং পরেও। আর তা হবে সেইদিন, যেদিন আল্লাহর দেয়া বিজয়ে মুসলমানেরা আনন্দিত হবে"। (সুরা ৩০ আয়াত ২-৫)
উপরোক্ত আয়াতে দুটি ভবিষ্যদ্বানী করা হয়েছিল যার একটি ছিল রোমানদের ব্যপারে এবং অরেকটি ছিল মুসলমানদের ব্যপারে। তখনকার অবস্থার পরিপেক্ষিতে এর একটিরও সম্ভাবনার কোন লক্ষন ছিলনা বিন্দু মাত্র। এমন কোন এনালিষ্ট ছিলনা যে ভাবতে পেরেছিল যে রোমানরা আবার এত শীঘ্র বিজয়ী হতে পারবে পারস্যদের বিরুদ্ধে। ইংরেজ্ ঐতিহাসিক গিবন্ এর কথানুসারে কুরআন মজীদের ভবিষ্যদ্বাণীর পরও সাত আট বছর আবস্থ্ এমন ছিল যে, রোমান সাম্রাজ্য কোনদিন পারসিকদের উপর বিজয়ী হতে পারবে এমন ধারনা পর্যন্ত কেই করতে পারছিলনা। বিজয়ত দূরের কথা এ রাজ্যটি ঠিকে থাকতে পারবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ ছিল অনেকের।(Gibon, Decline and Fall of the Roman Empire. Vol 11, P 788, )
আর মুসলমানদের বিজয়ের ব্যপারটাত ছিল কাফিরদের কাছে আরো হাস্যস্কর ও খুবই ঠাট্টা-বিদ্রুপের বিষয়।
বিজয়ের সময়ের ব্যপারে আল্লাহ কোরআনে যে শব্দ ব্যবহার করেছেন তা হল '' বি ইজনী ছিনিন" যা আরবীতে তিন থেকে দশ বছরের সময়কে বুজায়। সেজন্য কাফেররা এর সত্যতা প্রকাশ হওয়ার উপর শর্ত করে মুসলমানদের সঙ্গে বাজী ধরে। আর ঠিক নয় বছরের মাথায় রোমানরা নৌবাহিনী দিয়ে আক্রমন করে পারস্যদেরকে পরাজিত করে । আর এদিকে ঠিক একই সময়ে মুসলমানেরা বদরের যুদ্ধে কাফিরদের তিনহাজার শক্তিশালী সৈন্যদের বিরুদ্ধে মাত্র একহাজার সৈন্য নিয়ে যুদ্ধ করে কাফিরদেরকে পরাজিত করে বিজয় আনন্দ লাভ করে !